Reporter: শ্যামশ্রী সাহা | লেখক: উপালি মুখোপাধ্যায় | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১২ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮ : ৩৭

২৭ বছর পরে বড়পর্দায় ফিরছেন আটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয় রোমান্টিক জুটি চিরঞ্জিত চক্রবর্তী-ইন্দ্রাণী দত্ত। ১৯৯৭-এ পরপর মুক্তি পেয়েছিল ‘সেদিন চৈত্রমাস’, ‘নিষ্পাপ আসামী’। প্রথম ছবি আজও সমসাময়িক তার গল্প, ত্রিকোণ প্রেম আর গানের দৌলতে। মাঝে বড় ব্যবধান। ফের দূরত্ব মুছে আবারও পর্দায় জুটি বাঁধছেন তাঁরা। অর্ঘ্যদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ‘দ্য লুপ’ ছবিতে। এই প্রথম আদ্যন্ত থ্রিলার ঘরানায়। ছবিতে তাঁরা খ্রিস্টান দম্পতি মি. এবং মিসেস গোমস। এঁরা ছাড়াও পর্দাভাগ করবেন প্রিয়াঙ্কা সরকার-ঈশান মজুমদার, বরুণ চন্দ, অপ্রতীম চট্টোপাধ্যায়, তানিয়া মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ছবির লোকেশন খুঁজতে আপাতত পরিচালক বোলপুরে। 

খবর পেয়ে আজকাল ডট ইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গী। কেমন চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে?

প্রশ্ন রাখতেই উচ্ছ্বসিত ইন্দ্রাণী। বললেন, ‘‘গল্প এবং চরিত্র আমায় খুব টেনেছে। তাই এককথায় রাজি। এই প্রথম থ্রিলারে। এবং খ্রিস্টান চরিত্রে। সব মিলিয়ে ভীষণ উত্তেজিত।’’ এই দম্পতি এক রহস্যজালে জড়িয়ে পড়বেন। একে একে জড়াবেন আরও একমুঠো চরিত্র। রহস্যর জাল ছিঁড়বেন কি দম্পতিই? সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রীর মুখে কুলুপ। রহস্যধর্মী ছবি। তাই আর কিচ্ছু বলার উপায় নেই। তবে তাঁর একাধিক জনপ্রিয় ছবির নায়কের সঙ্গে পর্দায় ফিরতে পেরে দারুণ খুশি তিনি। সে কথা জানিয়ে অভিনেত্রী ফিরে দেখেছেন অতীত। তাঁর কথায়, ‘‘সেই সময় আমি আর চিরঞ্জিতদা মানেই ছবি হিট। সেটা ‘তুফান’ হোক বা ‘পাপী’ কিংবা ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটে’। সব ছবিতে উনি যে আমার নায়ক তাও নয়। কিন্তু একসঙ্গে মানেই ছবি হিট।’’ এও জানিয়েছেন, ২০২৪ এখনও পর্যন্ত আশার আলো দেখাচ্ছে। ছবিতে কাজ ছাড়াও নাচের বেশ কিছু ভাল অনুষ্ঠান রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি, এই প্রজন্মের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছে ইন্দ্রাণীর। সিরিজ থেকে ডাক পেলেও ফেরাবেন না তিনি।

২৭ বছর পরে জনপ্রিয় জুটিকে ফিরিয়ে এনে চওড়া হাসি পরিচালকের মুখেও। বোলপুর থেকে তিনি বলেছেন, ‘‘লুপ মানে যে কোনও জিনিস বারেবারে ফিরে পেতে চাওয়া। সেটা গান হতে পারে। কিংবা কোনও জায়গা। নামের সঙ্গে তাৎপর্য রেখেই ছবির গল্প বোনা হয়েছে। একই ভাবে, পর্দায় ওঁদের আবার ফিরে আসাটাও কিন্তু কোনও ভাবে লুপ!’’ তবে এও জানিয়েছেন, শুধুই রহস্য থাকবে না। সম্পর্কের নানা পরতও এতে দেখা যাবে। অর্ঘ্যদীপের স্বীকারোক্তি, ‘‘চিরসখা হে’ ছাড়া আমার সব ছবিই কম বেশি থ্রিলার জঁরের। আমি এই ঘরানাটা খুব ভালবাসি। তাই এবারেও অন্য গল্প বলেছি থ্রিলারের মোড়কে।’’



ছবিতে সাত থেকে ন’টি চরিত্র। প্রত্যেকটা চরিত্র সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকে পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। গোমস দম্পতির সঙ্গে মিলেমিশে তাঁদের রহস্যভেদ করতে দেখা যাবে। পরিচালনার পাশাপাশি ছবির গল্প লিখেছেন অর্ঘ্যদীপ। চিত্রনাট্য, সংলাপে এবং ঈপ্সিতা। গানের দায়িত্বে রণজয় ভট্টাচার্য। ইমেজ এন্টারটেনমেন্টের প্রযোজনায় ছবিটি নিবেলোকেশন খুঁজতে আপাতত পরিচালক বোলপুরে।